EWS Quota: উচ্চ বর্ণের মধ্যেও গরিব রয়েছে| ১০ শতাংশ সংরক্ষণে সায় সুপ্রিম কোর্টের

Bengali News Click

উচ্চবর্ণের মধ্যেও গরিব রয়েছে। সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই গরিবদের জন্য ১০ শতাংশ (10 pc) সংরক্ষণ (quota) দিয়ে সংবিধান সংশোধন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার সেই ১০৩তম সংবিধান (constitution) সংশোধনকে বৈধ বলে ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) সাংবিধানিক বেঞ্চ। এর ফলে জেনারেল ক্যাটাগরির আর্থিকভাবে দুর্বলরাও (economically weaker sections ) এবার সংরক্ষণের যাবতীয় সুবিধা পাবেন। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের গরিবদের জন্য যে ন্যায় দিতে চেয়েছিলেন, তা আজকের রায়ে প্রতিফলন বলে বিজেপি মন্তব্য করেছে। দলেরে সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) বি এল সন্তোষ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গরিব কল্যাণের জন্য আরও অগ্রগতি সম্ভব হবে।' 
তবে এই রায় সর্বসম্মত নয়। পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ৩-২ ভোটে এই রায় পাশ হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এই সংরক্ষণের বিপক্ষে ভোট দেন। অন্যদিকে, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং জেবি পর্দিওয়ালা ১০৩তম সংবিধান সংশোধনকে বৈধ বলে মত দেন।

প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত বলেন, আর্থিকভাবে দুর্বলদের সংরক্ষণের প্রশ্নে বিচারপতিদের মধ্যে চারটি রায় রয়েছে। বিচারপতি মাহেশ্বরীর মত, ১০৩তম সংবিধান সংশোধন বৈধ। কোনওভাবেই সংবিধানের মূল কাঠামো লঙ্ঘন করছে না। বিচারপতি ত্রিবেদীর মত, সংরক্ষণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। সংরক্ষণের মেয়াদ বেধে দেওয়া প্রয়োজন। বিচারপতি ত্রিবেদীর মত সমর্থন করেছেন বিচারপতি পর্দিওয়ালা। বিচারপতি ভাট বলেন, তফসিলি জাতি (SC), তফসিলি উপজাতি (ST) এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া (OBC) প্রার্থীদের মধ্যেও আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষ রয়েছেন। তাঁদের এই সংরক্ষণের আওতা থেকে বাদ দেওয়া বৈষম্যমূলক।

১০৩তম সংবিধান সংশোধনের সালতামামি (chronology of events ragarding 103th Constitution Amendment or EWS)

  • ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিল সংসদে পেশ করে মোদি সরকার।
  • ৮ জানুয়ারি, ২০১৯: লোকসভায় পাশ হয় এই সংশোধনী।
  • ৯ জানুয়ারি, ২০১৯: রাজ্যসভায় পাশ হয় ১০৩তম সংবিধান সংশোধনী
  • ১২ জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় আইন এবং সামাজিক ন্যায় মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই সংশোধনীতে সায় দিয়েছেন।
  • ফেব্রুয়ারি: নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়ে।
  • ৬ ফেব্রুয়ারি: সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ শীর্ষ আদালতের।
  • ৮ ফেব্রুয়ারি: EWS-এর সংরক্ষণের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের।
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২: মামলার শুনানির জন্য সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত।
  • ২৭ সেপ্টেম্বর: রায়দান স্থগিত।
  • ৭ নভেম্বর: সংখ্যারিষ্ঠ মতে ৩-২ গরিষ্ঠতায় ১০৩তম সংবিধান সংশোধনী বৈধ বলে ঘোষণা। 
আর উচ্চ বর্ণের গরিবদের জন্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণে বাধা থাকল না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ