Male Infertility: পশ্চিমবঙ্গের পুরুষদের বন্ধ্যত্ব বাড়ছে| এখনই সাবধান হোন

Bengali News Click

একটা সময় ছিল যখন বন্ধ্যত্বের (infertility) জন্য কেবল মহিলাদেরই দায়ী করা হতো। ধারণা ছিল, যৌন সক্ষম পুরুষ কখনও বন্ধ্যা হতে পারেন না। গর্ভধারণে সমস্যার জন্যই নারী বন্ধ্যা হয়ে থাকেন। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে, শুধু মহিলারাই নয়, পুরুষরাও বন্ধ্যত্বের (infertilty) জন্য সমান দায়ী। আর সাম্প্রতিক সমীক্ষা আরও ভয়াবহ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। পশ্চিমবঙ্গবাসীর (west bengal) জন্য এই পরিসংখ্যান উদ্বেগের।

তাতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ৮৬ শতাংশ পুরুষের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি রয়েছে। দেশের মধ্যে এই হার সর্বাধিক (highest in the country)। পুরুষের বন্ধ্যত্বের (infertility) জন্য মূলত তিনটি কারণকে দায়ী করা হয়েছে— 

  • বীর্যে নির্ধারিত সংখ্যার থেকে কম শুক্রাণু।
  • শুক্রাণুর গতি কম।
  • শুক্রাণুর আকার সঠিক নয়। 

পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ৮৬ শতাংশ পুরুষের শুক্রাণুতে কোনও না কোনও সমস্যা রয়েছে। একটি আইভিএফ সংস্থার পক্ষ থেকে রাজ্যের ৬৪ হাজার ৪৫২ দম্পত্রি উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২ হাজার ১৭৯ জন সন্তানহীন দম্পতি তাঁদের কাছে আইভিএফ করানোর জন্য আসেন। তখনই স্বামীর শুক্রাণু পরীক্ষা করে দেখা যায়, ৬১ শতাংশ পুরুষই সন্তানহীনতার জন্য দায়ী। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। 

কেন পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যত্ব বাড়ছে? (Why male in West Bengal Become Infertile?)

বিশেষজ্ঞরা নানাবিধ কারণের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁদের মতে, নিম্নমানের জীবনধারা, অত্যাধিক মানসিক চাপ, দেরীতে বিয়ে, কাজের চাপ, খাদ্যাভ্যাস ঠিক না হওয়ার জন্যই পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যত্ব বাড়ছে। 

আরও উদ্বেগের হল, দিন দিন বন্ধ্যত্ব বাড়ছে। সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা নীতিজ  মুরদিয়া বলেন, ‘২০১৮ সালে পুরুষের বন্ধ্যত্ব ৭৯ শতাংশের মধ্যে ঘোরাঘুরি করত। ২০১২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ শতাংশ। সবচেয়ে উদ্বেগের হল— ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের ১০.৮ শতাংশ পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুই মেলেনি।’ 

এই পরিসংখ্যানের ব্যবহারিক ক্ষেত্রে পড়েছে। দিনদিন আইভিএফ সেন্টারগুলিতে সন্তানহীন দম্পতিদের ভিড় বাড়ছে। আর দম্পতিদের শারীরিক পরীক্ষা করাতে গিয়েই পুরুষের বন্ধ্যত্বের বিষয়টি বেরিয়ে আসছে। সন্তান না হলে প্রথমে মহিলারাই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তাঁর স্বামীরও নানবিধ পরীক্ষা করা হয়। দেখা যাচ্ছে বন্ধ্যত্বের জন্য নারী ও পুরুষ দু’জনেই দায়ী। একটি আইভিএই কেন্দ্রের প্রধান সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুরুষ একাই বন্ধ্যত্বের জন্য ২০ শতাংশ দায়ী। আর তাঁর জন্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বন্ধ্যত্ব ঘটে। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ