Government Treasure: জানেন কি মাটির একফুটের নীচে পাওয়া সম্পত্তি সরকারের? গুপ্তধন খুঁজছে পুলিশ

Bengali News Click

মাত্র কয়েকদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের কুনো (kuno) জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছে নামিবিয়া থেকে আনা ৮টি চিতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে ছাড়া সেই চিতাগুলির দেখভালের জন্য বিপুল খনন চলছে কুনো জাতীয় উদ্যানে। আর খুঁড়তে গিয়েই মিলল গুপ্তধন (treasure)। সেই গুপ্তধন ভাগ করে নিলেন খননকর্মীরা। অনেক প্রাচীন মুদ্রা উদ্ধার হলেও, এখনও অনেকগুলি পাওয়া যায়নি। এদিকে খননকর্মীদেরও দেখা নেই। আতান্তরে পুলিশ। এরজন্য প্রশাসনের গাফিলতিকেই দুষছেন অনেকে।

ভারতীয় সম্পদ উদ্ধার আইন অনুযায়ী (Indian Treasure Trove Act 1878) মাটির একফুটের নীচে (below one foot depth) পাওয়া সম্পদের মালিক সরকার (government)। তাই এই ধরণের কোনও সম্পদ পেলে সরকারকে জানাতে হয়। সেগুলি জেলা কোষাগারে জমা রাখতে হয়। সেই সম্পদের তত্ত্বাবধায়ক একমাত্র জেলাশাসক। তাই কুনো জাতীয় পার্কে পাওয়া নিখোঁজ সম্পদের খোঁজ খবর শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ৪০টি প্রাচীন মুদ্রা উদ্ধার করা গিয়েছে। অনেকগুলিরই হদিশ নেই।

কুনো নদীর তীরে পালপুর রাজাদের পালপুর গ্রাহী দুর্গ ছিল। ১৯৮১ সালে এই এলাকাকে অভয়ারণ্যের জন্য অধিগ্রহণ করে সরকার। রাজা এবং তাদের ২৪ জন জায়গিরকে সরে যেতে হয়। তবে এই নিয় পাল রাজাদের কোনও ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য পূর্ত দপ্তর। রাজ্য জানিয়েছে, এলাকাটি ১০০ বছরের পুরনো। সরকারের খাতায় এই সম্পিত্তি ‘মূল্যহীন’। তবে এখানে প্রাচীন মুদ্রা পাওয়ায় প্রমাদ গুণছেন বণ্যপ্রাণকর্মীরা। তাঁদের মতে, এবার যদি পুরাতত্ত্ব বিভাগ খনন শুরু করে, তবে চিতাদের গোলমালে পড়তে হবে। কেননা বিদেশ থেকে আসা এই চিতাগুলি  এখনও নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। মুদ্রা পাওয়ার স্থানটিও চিতাদেরর এনক্লোজারের কাছেই।

মুদ্রা পাওয়ার খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে যান পালপুর রাজাদের দুই বংশধর মহাদেও রাজ সিং এবং আর কে শ্রীগাপাল দেও। মহাদেও রাজ সিং বলেন, ‘আমরা এসাকায় মাটির ভাঙা পাত্র দেখলাম। পুলিশ মাত্র ৪০টি মুদ্রা উদ্ধার করেছে। তবে মুদ্রার সংখ্যা অনেক বেশি হবে। ওই সম্পত্তি আমাদের। মুদ্রা পাওয়ার কথা আমাদের জানানো উচিত ছিল।’

জানা যাচ্ছে উদ্ধার হওয়া মুদ্রার বেশ কয়েকটি তিন-চারশ বছরের পুরনো। বেশ কয়েকটি আবার ব্রিটিশ আমলের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ