Whale Vomit: তিমির বমির দাম ১০ কোটি টাকা| সোনার চেয়েও দামি এই বমিতে কি রয়েছে?

why-whale-vomit-is-so-expensive-rs-10-crore-seized-in-up

চোরাই পথে তিমির বমি (whale vomit) পাচার করতে চেয়েছিল। তাই লখনউ থেকে চার ব্যক্তিকে পাকড়াও করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। তাদের থেকে ৪ কেজি ১২০ গ্রাম তিমির বমি উদ্ধার (seized) হয়েছে। টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, উদ্ধার বমির দাম প্রায় ১০ কোটি টাকা (rs 10 crores)! ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, তিমির বমি বিক্রি নিষিদ্ধ। এই বেআইনি কাজের অপরাধে ওই চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

তিমির বমি কেন এত দামি (why whale vomit is so expensive?)

তিমি পরিবারের সবচেয়ে বড় সদস্য হল স্পার্ম হোয়েল। এই তিমি যখন বমি করে, তখন তা জলে ভাসতে থাকে। এই বমিকে বলা হয় অ্যাম্বার গ্রিস। ধূসর রঙের জন্য এটাকে গ্রে অ্যাম্বারও বলা হয়। দামের জন্য একে ‘ভাসমান সোনা’ও বলা হয়। প্রাণীবিদরা বলেন, বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যের বস্তু এই তিমির বমি। এক কেজি সোনার দাম যেখানে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। সেখানে এক কেজি তিমির বমির দাম এক কোটি টাকারও বেশি। প্রসাধন এবং ঐতিহ্যবাহী ওষুধ তৈরিতে এর ব্যবহারের জন্যই এত দাম।

স্পার্ম হোয়েলের পরিপাক প্রক্রিয়ার অঙ্গ এই বমি। এটা মোমের মতো, কঠিন এবং দাহ্য পদার্থ। তিমির অন্ত্রে এটা তৈরি হয়। আগেই বলা হয়েছে, প্রাচীন কাল থেকেই তিমির বমির ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষ করে সুগন্ধী এবং ওষুধ শিল্পে। বিরলতম রোগ এবং উচ্চ মানের সুগন্ধী তৈরিতে এটি ব্যবহার হয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। মিশরে এটি দিয়ে ধূপ বানানো হত। চীনে এটি দিয়ে সুগন্ধী বানানো হত। 

তবে তিমি কেন এটা উগরে দেয়, তা এখনও রহস্য।  অনেকেই মনে করেন, এটা তিমির শরীর থেকে এমনিই বার হয়ে আসে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ