Kaziranga Park: কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কে নাইট সাফারি মুখ্যমন্ত্রী, সদগুরুর| অভিযোগ দায়ের

assam-chief-minister-himanta-biswa-sarma-sadhguru-broke-law-by-night-safari-in-kaziranga-national-park-claimed-activists

অসমের মুখ্যমন্ত্রী (assam chief minister) হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্কে (kaziranga national park) নাইট সাফারির (night safari) অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে ছিলেন সদগুরু (sadguru) জাগ্গি বাসুদেব এবং রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী জয়ন্ত মাল্লা বড়ুয়া। অভিযোগ, বন্যপ্রাণ আইনের তোয়াক্কা না করে তাঁরা কাজিরাঙায় নাইট সাফারিতে মেতে উঠেছিলেন। ভারতীয় একশৃঙ্গ গণ্ডারের একমাত্র বসবাস এই কাজিরাঙায়। সোনেশ্বর নারা এবং প্রবীণ পেগু নামে দুই বন্যপ্রাণ অধিকারকর্মীর (activists) অভিযোগ, শনিবার বন্ধ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে তাঁরা পার্কে ভ্রমণের উদ্দেশে ঢুকেছিলেন। তাঁদের দাবি, বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষা দিতে এবং তাঁদের বাসস্থান যাতে অক্ষত থাকে তার জন্য ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন পাশ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী এবং সদগুরু এই আইন লঙ্ঘন করেছেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে গোলাঘাট জেলা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন সোনেশ্বর এবং প্রবীণ। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হিমন্ত। 

অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি। বন্যপ্রাণ আইন অনুসারে ওয়ার্ডেন রাতেও পার্কে প্রবেশের অনুমতি দিতে পারেন। রাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও আইনই কাউকে বিরত করতে পারে না। চলতি মরশুমে পার্ক খোলার অনুমতি ছিল শনিবার। এরপর সদগুরু এবং শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর আসেন। তাঁদের লক্ষ লক্ষ অনুগামী রয়েছেন। তাই আশা করছি এবার কাজিরাঙায় ভালই পর্যটক আসবেন। 

সাফাই দিয়েছেন অসমের প্রিন্সিপ্যাল চিফ কনজারভেটর অব ফরেস্টস এম কে যাদব। তিনি বলেন, ‘বন দপ্তরের পক্ষ থেকে সদগুরু এবং মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাই এটা বলা অন্যায় হবে, তাঁরা নিয়ম ভেঙে রাতে সাফারিতে মেতে উঠেছিলেন। সমস্ত আয়োজন সম্পূর্ণ হয়েছিল। শুধু অন্ধকার হয়ে গিয়েছে বলে সব অনুষ্ঠান বাতিল করা সম্ভব ছিল না।’

অন্যদিকে, সদগুরুর ইশা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আশা করি এই বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য সমস্ত অনুমতি নিয়েছিল সরকার।’ এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি। তদন্তের জন্য কেবল অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’ 

যত সাফাইই দেওয়া হোক, ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, সাফারির এসইউভি গাড়িটি চালাচ্ছেন সদগুরু। তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন হিমন্ত এবং মাল্লা। বেশ হাসিখুশি মুডেই রয়েছেন তাঁরা। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ