Voter Card: ১৮ নয়| ১৭ হলেই এবার ভোটার কার্ডের আবেদন করা যাবে

voter-id-at-17-years-of-age-in-india-how-to-apply

Voter Card: ১৮ নয়|১৭ হলেই এবার ভোটার কার্ডের আবেদন করা যাবে

ভোটার কার্ড করাতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েন অনেকে। তাছাড়া আবেদন করে কার্ড পেতে পেতে বছর গড়িয়ে যায়। এরমধ্যে কোনও নির্বাচন পড়ে গেলে তালিকায় নাম না থাকায় ভোট দেওয়া হয়ে ওঠে না। অথচ দেশের (india) সংবিধান মতে ১৮ বছর পার হলেই দেশের যে কোনও নাগরিক ভোট দেওয়ার অধিকারি। আইনের সঙ্গে বাস্তবের এই ফারাক রোধ করতে এবার উদ্যোগী হল নির্বাচন কমিশন। ১৭ বছর (17 years of age) হলেই যে কেউ এবার ভোটার (voter id) তালিকায় নাম তোলার আবেদন করতে পারবেন। এর ফলে আঠারো বছর হলেই যে কারও হাতে পৌঁছে যাবে ভোটার কার্ড। ২৮ জুলাই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডে রাজ্যগুলিকে এই নিয়ে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, যাদের বয়স ১৭ পার হয়েছে কিন্তু ১৮ হতে দেরি রয়েছে, তাদের ভোটার কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। 

কীভাবে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করবেন? (How can you apply for a voter ID?)

এখন ১ জানুয়ারির মধ্যে কারও বয়স ১৮ বছর হলে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। ১ জানুয়ারি পার করে কারও ১৮ বছর পূর্ণ হলে, তাঁকে পরবর্তী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। নির্বাচন কমিশনের বৃহস্পতিবারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারির পাশাপাশি ১ এপ্রিল, ১ জুলাই এবং ১ অক্টোবরে ১৮ বছর যাঁরা পূর্ণ করবেন তাঁরা এখন থেকেই ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ এবার আর জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। বছরের চারটি সময় এই আবেদন করা যাবে। তাও এক বছর আগে থেকে। প্রতি তিনমাস অন্তর ভোটার তালিকার সংশোধন হবে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলি সম্পূর্ণ হলেই হাতে চলে আসবে ভোটার কার্ড। তবে ভোটার কার্ড হাতে থাকলেই ভোট দেওয়া যাবে না। ভোটার কার্ড গ্রাহককে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অগ্রিম আবেদনের ফর্ম মিলবে আগস্ট থেকে। 

আবেদনকারীকে 

ভারতের নাগরিক হবতে হবে। ১৭ বছরের বেশি বয়স হতে হবে। বা ২০২৩ সালে ১৮ পূর্ণ করতে হবে।

কীভাবে আবেদন করবেন? 

  • অনলাইনে আবেদন করতে হলে https://www.nvsp.inএই সাইটে গিয়ে ফর্ম ৬ পূর্ণ করতে হবে। অফলাইনের জন্য বুথ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। 
  • আবদনে নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ এবং নির্বাচনী ক্ষেত্র উল্লেখ করতে হবে। 
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি, স্থায়ী বসবাসের প্রমাণ।
  • প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে ভোটার তালিকায় নাম উঠবে প্রার্থীর। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ