Partha Arpita Money: পার্থ-অর্পিতার বাজেয়াপ্ত অর্থ ব্যবহার হতে পারে জনকল্যাণে

what-will-happen-with-seized-money-from-partha-chatterjee-and-arpita-mukherjee-home

বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না পশ্চিমবঙ্গবাসীর। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (partha chatterjee) ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (arpita mukherjee) বাড়ি (home) থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘোর এখনও কাটেনি। এর মধ্যে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক সম্পত্তি। এর কোনওটি অর্পিতার নামে। আবার কোনওটি অর্পিতা-পার্থর নামে (অপা)। ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই বিপুল সম্পত্তির (Seized money) ভবিষ্যৎ কি (what will happen) ? 

তার আগে জেনে নেওয়া যাক, এখনও পর্যন্ত কি কি উদ্ধার হয়েছে? অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে মোট ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া প্রচুর টাকার সোনার বাট। সন্ধান মিলেছে পার্থ অর্পিতার বিপুল সম্পত্তি। 

  1. ডায়মন্ড সিটিতে ৪টি ফ্ল্যাট
  2. বেলঘরিয়া ক্লাব টাউনে ২টি ফ্ল্যাট 
  3. বোলপুরে ৭টি বাড়ি
  4. বরানগরে একটি ফ্ল্যাট
  5. ৪৫ কোটি টাকার একটি স্কুলের সম্পত্তি
  6. শান্তিনিকেতনে বিশাল সম্পত্তি 
  7. নিউটাউনে একটি ফ্ল্যাট
  8. সোনারপুরে একটি বাড়ি
  9. হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় একটি বাড়ি
  10. বাঘা যতীন রেল স্টেশনের কাছে পশু হাসপাতালের নামে সম্পত্তি
  11. বারুইপুরে ২৫ বিঘা জমি
  12. সজনেখালিতে রিসর্ট 
  13. সিঙ্গুরে ফার্ম হাউস
  14. সুন্দরবনে গেস্ট হাউস 
  15. সুন্দরবনে রিসর্ট
  16. ঝাড়গ্রামে ফার্মহাউস
  17. ফার্ম হাউস বারুইপুর
  18. বানতলায় ১০ বিঘা জমি
  19. ঝাড়খণ্ডের ২৪ একর জমি
  20. বর্ধমানে বালি তোলার জন্য ডাম্পার
  21. একটি পোষাক সংস্থায় প্রচুর টাকা নিয়োগ 
  22. একটি বিনোদন সংস্থার বাড়ি


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, উদ্ধার হওয়া সম্পত্তির মূল্য হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সম্পত্তির ভবিষ্যৎ তিনটি পথে ব্যবহার হতে পারে। অতীতেও ইডির বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি এভাবে হিল্লে হয়েছে।

  1. এখন বাজেয়াপ্ত হলেও পরে নথি দেখিয়ে সেগুলি নিজেদের বৈধ উপায়ে অর্জিত বলে দাবি করতে পারেন পার্থ ও অর্পিতা। প্রমাণ হলে তা তাঁরা ফেরত পাবেন। তবে অনেকেই বলছেন, সেই প্রমাণের সম্ভাবনা কম। 
  2. যাঁদের টাকা, তাদের ফেরত দেওয়া হতে পারে। এটা প্রধানত আর্থিক অপরাধের ক্ষেত্রে হয়। চিটফান্ড কাণ্ডে অনেকেই প্রতারিত হন। এখন বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি উদ্ধার করে বিক্রি করে তাঁদের অর্থ ফেরানো হয়। তবে পার্থ-অর্পিতার ক্ষেত্রে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চাকরি দেওয়া বা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে এই বিপুল সম্পত্তি করেছেন তাঁরা। ঘুষ নেওয়ার পাশাপাশি ঘুষ দেওয়ায় বেআইনি। তাই ঘুষ দাতারাও আর অর্থ দাবি করার পথে হাঁটবেনন না। তাছাড়া এই সমস্ত লেনদেনের যেহেতু কোনও নথি থাকে না, তাই দাবি প্রমাণ করা শক্ত। 
  3. মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, উদ্ধার টাকা জমা থাকবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভল্টে। বৈধ দাবিদার না পাওয়া গেলে, তা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল বা অন্য কোনও সংস্থাকে খরচের জন্য দিতে পারে কর্তৃপক্ষ। তখন সেই টাকা জলকল্যাণে ব্যায় হবে। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ