Sepoy Mutiny: সিপাহী বিদ্রোহে যোগদানকারী বহু বাঙালির কঙ্কাল উদ্ধার

Skeleton-found-in-punjab-sepoy-mutiny-era-mystery-resolved

Sepoy Mutiny: সিপাহী বিদ্রোহে যোগদানকারী বহু বাঙালির কঙ্কাল উদ্ধার

পাঞ্জাবের (Punjab) অমৃতসরের কাছে অজনালার একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার হল ২৮২টি নর কঙ্কাল। এগুলি সিপাহী বিদ্রোহে (Sepoy Mutiny) যোগদানকারী সেনাদের বলে জানা গেছে। ২০১৪ সালে এগুলি উদ্ধার হলেও, কোথা থেকে এগুলি এল,  এতদিন সেটা অজানা ছিল, অবশেষে সেই রহস্য উদ্ধার হল (Mystery Resolved)। জানা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বহু বাঙালিও। ঐতিহাসিকরা সহমত যে,  ২৬তম নেটিভ বেঙ্গল ইনফ্যান্রিেন রেজিমেন্টের সেনাদের কঙ্কালই পাওয়া গিয়েছে অজনালায়। এই রেজিমেন্টে যোগ দিতেন মূলত বাংলা, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের যুবকরা। 

ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এগুলি স্থানীয় মানুষের কঙ্কাল নয়। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ্যার সহকারী অধ্যাপক জে এস শেরাওয়াত জানিয়েছেন, কার্তুজে গোরু ও শুয়োরের চর্বি ব্যবহারের প্রতিবাদে তাঁরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। ব্রিটিশ সেনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার শাস্তি হিসেবে তাঁদের অনেককেই গুলি করা হয়েছিল। অনেককে আবার জীবন্ত অবস্থায় কুয়োয় চাপা দেওয়া হয়। বাইরে থেকে যাতে গন্ধ না পাওয়া যায়, তাই কয়লা এবং চুন দিয়ে ভরে দেওয়া হয়েছিল কুয়ো। 

২০০৩ সালের মার্চে অমৃতসরের টাউনহল লাইব্রেরিতে একটি বই অনাদরে পড়ে থাকতে দেখেন ঐতিহাসিক সুরিন্দর কোচর। ফ্রেডরিক হেনরি কুপারের লেখা ‘ক্রাইসিস অব পাঞ্জাব’ বইটির সূত্রেই উঠে আসে ১৬৫ বছরের পুরনো নারকীয় হত্যাকাণ্ড। ধারেভারে যা জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেই তুলনীয়। কোচরের গবেষণার সূত্রেই ২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অজনালার ওই কুয়োতে খনন শুরু হয়। জানা যাচ্ছে, ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় অমৃতসরের ডেপুটি কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন কুপার। তিনি লিখেছেন, লাহোরে মোতায়েন ছিল বহু সেনা। কোম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর তাঁরা ইরাবতী নদী পেরিয়ে অজনালায় হাজির হন। এরপর ওই সিপাহীদের গুলি করে মেরে ওই কুয়োতে ফেলে দেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাহিনী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ