DA LaxmiBhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য মহার্ঘভাতা দেওয়া যাচ্ছে না| অকপট অভিনেতা চিরঞ্জিত

Bengali News Click

জনগণ জানে আসল কারণ। অনেকেই বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (laxmi bhandar) জন্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের (govt employee) কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা (da) দেওয়া যাচ্ছে না। তবে সে কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন না কেউ। এবার সেটাই খোলসা করলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক (tmc mla) চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। ব্যাখ্যা করে জানালেন কেন রাজ্য সরকারি (west bengal) কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মধ্যমগ্রামে দলের ‘দিদির সুরক্ষা কর্মসূচি’তে যোগ দিতে গিয়েছিলেন চিরঞ্জিত। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (laxmi bhandar) প্রকল্পে সরকারের বিপুল অঙ্কের টাকা চলে যাচ্ছে। তাই সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না।’ 

এখানেই থামেননি অভিনেতা-রাজনীতিক। চিরঞ্জিত আরও বলেন, ‘আমাদের এখন প্রত্যেকের বাড়ি যেতে হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তার জন্য বিপুল টাকা লাগছে। ওরা (কেন্দ্রীয় সরকার) যেগুলো দেয় না, আমরা সেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিই। সেই কারণে বাজেটের একটা অংশের টাকা ওদিকে (সামাজিক প্রকল্প) চলে যাচ্ছে। তাই আমরা ডিএ-র পুরোটা দিতে পারছি না।’

ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে। আগে আরও ৩ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েয়ে ১ মার্চ থেকে অতিরিক্ত ৬ শতাংশ ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা? তবে এই নিয়ে সরকারি কর্মীদের মধ্যে অসন্তষে রয়েছে। সেই ক্ষোভ আঁচ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, ডিএ দিতে তাঁর সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। জেলা সফরে গিয়ে মমতা বাম আমলের ঋণের বোঝার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, ‘ আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই।’ একদিকে বাম জমানার ঋণ রয়েছে সরকারের মাথার উপর। সেইসঙ্গে সামাজিক প্রকল্পে খরচের বহর বেড়েছে। নবান্নের বক্তব্য, এসবের সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা। আগামী ১৫ মার্চ ডিএ মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ