Kshama Bindu: নিজেকে বিয়েটা সেরেই ফেললেন ক্ষমা বিন্দু

gujarat-kshama-bindu-puts-Vermilion-on-her-before-time

Kshama Bindu: নিজেকে বিয়েটা সেরেই ফেললেন ক্ষমা বিন্দু

পরেলেন। তিনি পারলেন। নিজেকে বিয়ে করার সাহস শেষ পর্যন্ত সঞ্চয় করতে পারলেন ক্ষমা বিন্দু (Kshama Bindu)। সিঁথিতে সিঁদুর (Vermilion) চড়ালেন তিনি। এখন তিনি স্বামী হীন নববধূ। সারাজীবন তিনি স্বামীহীন বধূ হিসেবেই থাকবেন। কথা ছিল ১১ জুন তিনি বিয়ে সারবেন। কিন্তু বিতর্ক এড়াতে নির্ধারিত তারিখের দু’দিন আগেই বিয়েটা সেরে ফেললেন।

কথা তো ছিল অনেক কিছু। কিন্তু গুজরাতের এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী এখন থেকেই হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন, অন্য অনেকের সঙ্গে তাঁর জীবন যাপন মিলবে না। তাই মন্দিরে বিয়ে করার ইচ্ছা থাকলেও শেষপর্যন্ত ৪০ মিনিটের ডিজিটালি বিয়ে পর্ব সারেন। বর নেই। মালাবদল নেই। আছেও। নিজেই নিজেকে মালা পরিয়েছেন। সিঁথিও রাঙিয়েছেন নিজেই। আর আগাগোড়া পাশে পেয়েছেন জনা দশেক বন্ধু এবং সহকর্মীকে। তাঁরা ক্ষমাকে ফুল ছিটিয়ে সারাজীবন পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। আর ক্ষমা বলছেন, ‘শেষপর্যন্ত বিয়েটা করতে পেরে আমি দারুণ খুশি। এখন আমি বিবাহিত মহিলা!’ তিনি যখন এই কথাগুলি বলছেন, তখন তাঁর গলায় ঝিলিক দিচ্ছে মঙ্গলসূত্র। 

তাঁর এই উদ্যোগকে প্রতিবেশীরা ভালভাবে নেননি। অতিথি, সংবাদমাধ্যমের আনাগোনা নিয়ে তাঁরা অভিযোগ করতে থাকেন। আর ঝুঁকি নেননি ক্ষমা। আগেভাগেই বিয়েটা সেরে ফেলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিয়ের দিন কেউ ঝামেলা বাধাতে পারে। আমি চাইছিলাম না বিশেষ দিনে কোনও ঝামেলা হোক। তাই বুধবার বিয়েটা সেরে নিলাম।’ 

এই ধরনের বিয়ের আরও একটি সুবিধা রয়েছে বলে মনে করেন ক্ষমা। তাঁর কথায়, ‘আমাকে তো আর বিয়ের পর ঘর ছাড়তে হচ্ছে না।’ তিনি এখন বিবাহিত। সম্ভবত সারা দেশে একক বিবাহিত — সোলোগ্যামি। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ