Two Finger Test: ধর্ষণ হয়েছে কি না জানতে দু’আঙুল পরীক্ষা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ সুপ্রিম কোর্টের

Bengali News Click

ধর্ষণ হয়েছে কি না জানতে ধর্ষিতার দু’আঙুল পরীক্ষা (two finger test) এখনও ভারতে চলছে। এই নিয়ে সোমবার তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই পরীক্ষা এখনও চলছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, অবিলম্বে সরকারি এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এই ধরণের পরীক্ষা বন্ধ (remove) করতে রাজ্য ও কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নিতে হবে। 

ধর্ষণ এবং খুনে নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এক অভিযুক্তকে বেকসুর ঘোষণা করেছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের যুক্তি ছিল, মহিলার দু’আঙুল পরীক্ষা (two finger test) করা হয়নি। সেই রায় খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছে। আদালতের মতে, দশকের পর দশক ধরে যে দুই আঙুল পরীক্ষা চলে আসছে তা মহিলার সম্মান এবং গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে। আদালতের মতে, ‘আজও এই প্রথা (two finger test) চলছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। যৌনাঙ্গ কতটা শিথিল, তা জানতে এই পরীক্ষা মহিলার সম্মান নষ্ট করে। আমরা কখনও বলতে পারি না, যৌনতায় সক্রিয় কোনও মহিলা ধর্ষণের শিকার হন না।’ দু’আঙুল পরীক্ষা (two finger test) যাতে আর না করা হয় তার জন্য কেন্দ্র, রাজ্য এবং পুলিসের ডিজি এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবদের আদালত নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আদালত এদিন জানিয়েছে, এরপরও যদি দু’আঙুল পরীক্ষা করা হয়, তাকে অপরাধ হিসেবে ধরা হবে।

দু’আঙুল পরীক্ষা কি (What is two finger test)?

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই নামে কোনও পরীক্ষা নেই। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে ধর্ষণের সত্যতা পরীক্ষা করতে এই পরীক্ষা করা হয়। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এই পরীক্ষা করা হয়। হাতে গ্লাভস পরে নারীর যৌনাঙ্গে দু’টি আঙুল প্রবেশ করানো হয়। এই পরীক্ষার নামই টু ফিঙ্গার টেস্ট বা দু’আঙুল পরীক্ষা। যৌনাঙ্গে দু’টি আঙুল সহজে প্রবেশ করলে ধরে নেওয়া হয় মহিলা যৌনতায় সক্রিয়। সেক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগের সারবত্তা অনেকটাই লঘু হয়ে যায়। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই পরীক্ষা কখনওই নির্ভুল নয়। তাই ধর্ষণ নিয়ে কোনও নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসা যায় না। 

  • এই পরীক্ষা (two finger test) বন্ধের দাবিতে বহুদিন ধরেই সরব মহিলা সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি, এই পরীক্ষা অমানবিক, নিষ্ঠুর এবং অযৌক্তিক। ধর্ষিতাকে পরীক্ষার নামে আরও একবার ধর্ষণের শিকার হতে হয়। 
  • এই পরীক্ষা বন্ধ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এমনকী চার বছর আগে দু’আঙুল পরীক্ষা (two finger test) বাতিল করেছে বাংলাদেশ। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ