১৫ বছর হাজতবাস হয়ে গিয়েছে। এই যুক্তিতে বিলকিস বানোকে (bilkis bano) ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত (convits) ১১ জনকে মুক্তি (release) দিয়েছে গুজরাত সরকার। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে বিতর্ক দেখা যায়। এমনকী দোষীদের ফুলমালা পরিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়। বলাবলি শুরু হয়, গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে মেরুকরণের ফায়দা তুলতেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (supreme court) একগুচ্ছ জনস্বার্থ মামলা (plea) দায়ের হয়। মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন, সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য সুভাষিণী আলি এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামনার নেতৃত্বাধীন এই মামলাটি বিচারের জন্য গ্রহণ করেছে। সুভাষিণীর হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী কপিল সিবাল, মহুয়ার হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী অভিষেক মণু সিঙ্ঘভি। মামলা প্রসঙ্গে সিবাল বলেন, ' সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে নয়, আমরা কেবল তাদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।'
গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানো। ২০০২ সালের ৩ মার্চ দাহোদে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। সে সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এছাড়াও খুন করা হয় তাঁর তিন বছরের মেয়ে সালেহ সহ ১৪ জনকে। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি বিলকিস বানোর পরিবারের সাত সদস্যকে খুন ও গণধর্ষণের অভিযোগে ১১ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। বম্বে হাইকোর্টও সেই সাজা বহাল রাখে।
১৫ বছর হাজতবাসের পর একজন সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন করে। এরপরেই বিষয়টি গুজরাত সরকারকে খতিয়ে দেখতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাত সরকার এই নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের মুক্তির পক্ষে মত দেয়। এরপরেই রাজ্যের অপরাধী মুক্তি নীতি অনুযায়ী ১৫ আগস্ট বিলকিস বানো গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার।
0 মন্তব্যসমূহ