Imran Khan: ‘দেখা হবে, জনতার আদালতে’| কথা রাখলেন ইমরান খান

Imran-Khan-Reaches-Islamabad-Turmoil-Continued

Imran Khan: ‘দেখা হবে, জনতার আদালতে’| কথা রাখলেন ইমরান খান

তীব্র টানাপোড়েনের (Turmoil) মধ্যেই পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে (Islamabad) পৌঁছলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সমর্থকদের তিনি ইসলামাবাদে জড়ো হওয়ার আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে মাঝরাতে ইসলামাবাদে এসে পৌঁছেছেন হাজারো সমর্থক। বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামাবাদে এসে পৌঁছেছে ইমরানের কনভয়। বিরাট ভিড়ের মধ্যেই তিনি প্রশাসনকে ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই অবস্থায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেনার সাহায্য চাইল শাহবাজ শরিফ সরকার। রাজধানীর সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতেই সেনার সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছেন ইমরান। অন্যদিকে শাহবাজ শরিফের সরকার জানিয়ে দিয়েছে ইমরান সরকারের বাকি মেয়াদ পূর্ণ করবে বর্তমান সরকার। সে হিসেবে আগামী বছরের আগস্টের আগে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন শাহবাজ শরিফ প্রশাসন। কূটনৈতিক মহলের মতে, ইমরান মনে করেন জটিল জোট অঙ্কে তিনি গদি হারিয়েছেন। কিন্তু গরিষ্ঠ সংখ্যক দেশবাসী তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। এখনই নির্বাচন হলে তিনিই জিতবেন। আর প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাঁর ‘আজাদি মার্চ’ সেই কারণেই। 

এদিকে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ায়, বিদেশি আর্থিক সাহায্য আটকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বহুদিন ধরে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF) থেকে ঋণ নিতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। ঋণদাতারা কোনওভাবে টালমাটাল পরিস্থিতিতে ঋণ দিতে অগ্রসর হবে না। তাই জনগণকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি এই ‘নোংরা রাজনীতি’ বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইমরানের ধর্নার জেরে আগেও কীভাবে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছিল, তার ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ইসলামাবাধে ধর্নায় বসেছিল ইমরানের তেহরিক ই ইনসাফ। সেই কর্মসূচির জেরে চীনা প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের পাকিস্তান সফর বাতিল হয়ে যায়।

ইসলামাবাদের উপকণ্ঠেই রয়েছে ডেমক্র্যাসি চক। এর সামনেই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। উল্টো দিকে সুপ্রিম কোর্ট। এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ধর্নার একটি উদ্দেশ্য - প্রচারের আলো পাওয়া। এদিকে সরকার ও ইমরানের আন্দোলনের জেরে ইসলামাবাদের যমজ শহর বলে পরিচিত রাওয়ালপিন্ডিতে জরুরি পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থাল লাহোরের। পিটিআইয়ের উগ্র সমর্থকদের রুখতে ইসলামাবাদগামী সমস্ত রাস্তা কন্টেনার দিকে আটকে দেওয়া হয়েছে। এতে লাহোরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব দেখা দিয়েছে। জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ হাফিজের ট্যুইটে। তিনি লেখেন, ‘লাহোরে পেট্রল মিলছে না??? এটিএমে টাকা মিলছে ন??? রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বলি কেন হবেন সাধারণ মানুষ?’ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ